মানুষের রাষ্ট্র, সমাজ, অর্থনীতি, পরিবার, আইন, ধর্ম, শিক্ষা ইত্যাকার যত যূথবদ্ধতা, যত নিয়মকানুন, যত প্রাতিষ্ঠানিকতা রয়েছে, তার প্রথম ও প্রধান প্রায়োরিটি (প্রাধান্যতা) হওয়া উচিত মানবদেহের ইন্টিগ্রিটি (সুষ্ঠুতা) রক্ষা। কেননা, মানুষের যে দেহ-সিস্টেম, বিভিন্ন অঙ্গ-তন্ত্রাদির সমন্বয়ে যে সমন্বিত শারীরবৃত্তিক ব্যবস্থা, সেটা যদি ব্যর্থ হয়, ব্যাহত হয়, ফেইল করে; এবং কোন ব্যবস্থাপনায় যদি অনিবার্যতার সাথে করতেই থাকে, তবে সেই ব্যবস্থাপনার বা ওয়ার্ল্ডভিউয়ের আর কোনো উপযোগিতাই থাকে না।

আরেকটু ব্যাখ্যা করি। কোনো মতাদর্শ, কোনো ওয়ার্ল্ডভিউ, কোনো সিস্টেম যদি এমন হয় যে, তা মানবদেহের সিস্টেমটার বিরুদ্ধে কাজ করে এবং দৈহিক সিস্টেমের অব্যাহত নানামাত্রিক বিরুদ্ধাচরণের ফলে গণমানুষের মাঝে গণঅসুস্থতা তৈরি করে, তবে তা নিশ্চিতরূপে ব্যর্থ ওয়ার্ল্ডভিউ। এটা একটা মৌলিক মাপকাঠি হতে পারে। মানুষই যদি না থাকে, না সুস্থ থাকে, না স্বস্তিতে থাকে, তবে সেই ব্যবস্থাপনার আর কী কল্যাণ থাকতে পারে?

এখানে আলোচনার সুবিধার জন্য আমি দুটো সিস্টেম ও তাদের আন্তঃসম্পর্ক উল্লেখ করব। এখনও প্রস্তাবনা আকারে লেখকের চিন্তাজগতে এই তত্ত্বটি গঠন পর্যায়ে রয়েছে বলে আর্টিকুলেশানে গ্যাপ থাকা অস্বাভাবিক না। আমি একটা সত্তাকে ধরছি রাষ্ট্র, আরেকটা সত্তাকে বলছি গণশরীর। গণশরীর হল, রাষ্ট্রের বাসিন্দা সকল নাগরিকের সামগ্রিক শারীর-ব্যবস্থাপনা। ধরুন, রাষ্ট্রের নাগরিক একজনই এবং তার শরীর-ফাংশানকে বলছি গণশরীর, বা সকল নাগরিকের সামষ্টিক যে শরীর, সকল বাসিন্দার হার্টগুলোকে একটা হার্ট ধরা যাক, এভাবে। যে রাষ্ট্রকল্প গণশরীরকে ব্যর্থ করে, তার আর কোনো কল্যাণের ধার ধরা নিষ্প্রয়োজন। পাহাড়সমান কল্যাণের ওয়াদা করলেও তা আর ভ্যালিড না যদি এই গণশরীরই ব্যর্থ হয়, বা গণশরীরের সাথে না মেলে।

১৭শ-১৮শ শতাব্দীতে যখন ধর্মহীন (সেক্যুলার) রাষ্ট্র-সমাজ নির্মাণ-তত্ত্ব আলোচনা চলছে, দার্শনিকরা রাজা-চার্চ-জমিদার থেকে বেরিয়ে নতুন বিভিন্ন প্রকল্পের কথা আলোচনা করছেন। সেসময় মানবশরীর বিষয়ে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা ছিল অতি সামান্য। বিগত ৫০-৭০ বছরে মানবদেহ সম্পর্কে যে পরিমাণ জ্ঞান আমরা অর্জন করেছি, তা বিস্ময়কর। অতি-আণুবীক্ষণিক পর্যায়ে মানবদেহের নানা উপাদান কীভাবে ফাংশান করে তা আমরা জেনেছি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এনলাইটেনমেন্ট যুগের জ্ঞান, দর্শন, রাষ্ট্রচিন্তা, সমাজকল্প এসবে ‘মানবদেহের কী এলো-গেলো’— সে আলাপ অপ্রাসঙ্গিক ও সামর্থ্যের বাইরে ছিল। এনলাইটেনমেন্টের সময়কার জ্ঞান-দর্শনের উপর ভিত্তি করে পৃথিবী এগিয়েছে, আরও পরিশীলন এসেছে বটে, আজকের মানব শারীরবিদ্যাও এই জ্ঞান-দর্শনেরই ফসল নিঃসন্দেহে। কিন্তু কেউ-ই মানবশরীরের সাথে এসব তত্ত্ব-জ্ঞানকে মিলিয়ে নেবার দরকার অনুভব করেননি। কেউ-ই জানতে চাননি শরীরী সিস্টেমের উপর এই ওয়ার্ল্ডভিউয়ের প্রভাব কী— নেগেটিভ, নাকি পজেটিভ? এর একটা কারণ হতে পারে, মানবশারীরতত্ত্ব একটা সুপার-স্পেশালিটি। দর্শনের সাথে যে পরিচিত তার পক্ষে শারীরবিদ্যার গভীর জ্ঞান সম্ভব হয়নি। আবার, শারীরবিদ্যার ছাত্র দর্শনের সাগরে ডুব দেবার সময়-সাহস পায়নি। তবে এই দর্শন-শরীর সম্পর্কের সুরাহা হওয়া দরকার, প্রয়োজনে মাল্টিডিসিপ্লিনারি আলোচনার মাধ্যমে।

আধুনিক সেক্যুলার লিবারেল রাষ্ট্রের বিভিন্ন রকমফের হতে পারে। প্রতিটি আলাদা ধারণা নিয়ে আলোচনা জটিল হয়ে যাবে। বর্তমান রাষ্ট্রচিন্তার মৌলিক কিছু বিষয় নিয়ে তুলনা করলেই যথেষ্ট হবে আশা করছি।

১. সেক্যুলার রাষ্ট্র:

সেক্যুলার রাষ্ট্রের মূল হল রাষ্ট্র ও ধর্ম পৃথক রাখা হবে, পরস্পর পরস্পরের উপর হস্তক্ষেপ করবে না। ধর্মবিধান, ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ, ধর্মীয় শব্দচয়ন ইত্যাদিকে সচেতনে রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমের বাইরে রাখা হবে। যদিও আধুনিক রাষ্ট্রের পরিসর যত বেড়েছে, ততই তা ধর্মকে আরও খর্ব করেছে, কখনো নিজেও ধর্মের স্থান দখলের চেষ্টা করেছে। এসব নিয়ে পশ্চিমা দার্শনিকদের প্রচুর আলাপ আছে। আমরা শুধু দেখতে চাই, ধর্ম ও রাষ্ট্রের পৃথগীকরণের যে আওয়াজ রেনেসাঁ যুগ থেকে চলমান, গণশরীরের সাথে তার সম্পর্ক কী?

১.১

মানবমস্তিষ্কের জেনারেল গঠন আলাপ করে নিলে বুঝতে সুবিধা হবে। ব্রেইনকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায় ফাংশনালি— নিম্নতর কেন্দ্র (Subcortical), উচ্চতর কেন্দ্র (Cortex), এ দু’য়ের মাঝে বর্ডার জোন (limbic system)।

  • নিম্নতর কেন্দ্রের কাজ অটোমেটিক কাজগুলো করা, যা নিম্নবর্গের প্রাণীতেও রয়েছে যেমন: শরীরের নানান অনৈচ্ছিক কাজকর্ম করা (শ্বাস, হৃদস্পন্দন, পরিপাক কার্য, রক্তের উপাদানের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি)।
  • লিম্বিক/বর্ডার জোনের কাজ (সেমিঅটোমেটিক) আবেগ ও আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা। সহজাতভাবেই যেসব আচরণ আমরা চিন্তা ছাড়াই করি সেগুলোর কেন্দ্র এটা। এগুলো নিম্নবর্গের প্রাণীতে ও মানুষের কাছাকাছি। [তুলনীয় : আমার আবেগে কাজ করেছে (লিম্বিক), বিবেকে কাজ করেনি (কর্টেক্স)]
  • নিম্নকুলের প্রাণিদের সাথে মানুষের পার্থক্য হল: মানুষের উচ্চতর কেন্দ্র অনেক বড় (Cerebral cortex)। ফলে পাঁচ আঙুলের ব্যবহার শিম্পাঞ্জীও করে, মানুষের ব্যবহার অনেক বেশি সূক্ষ্ম। তুলনা করতে পারেন: ছোট বাচ্চাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ব্যবহার অনেক স্থূল, বড় মানুষের অনেক সূক্ষ্ম। কেননা তাদের কর্টেক্স তৈরি হচ্ছে, যা তৈরি শেষ হবে ২৪ বছর বয়সের আশেপাশে। উচ্চতর কেন্দ্রের কাজ হল: ঐচ্ছিক কাজগুলো করা, ইনফরমেশন নেয়া, সেগুলো স্মৃতিতে রাখা, প্রয়োজনের সময় স্মৃতি-তথ্য সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেয়া ও নিচের দুই সেন্টারের কাজ সুচারু করা, নিয়ন্ত্রণে রাখা।

আমার সামনে একটা বিরিয়ানি আছে, আমার ক্ষুধাও আছে। পশু সেটা খেয়ে ফেলবে। আমি খাচ্ছি না, আমি ভাবছি অন্য লোকের খাবার হতে পারে, খাওয়া ঠিক হবে না। আমার ক্ষুধা লেগেছে, এটা নিম্নকেন্দ্র জানাচ্ছে। লিম্বিক জোন জানাচ্ছে আমার খাওয়ার তাড়না আছে। আর উচ্চকেন্দ্র জানাচ্ছে: না, খাওয়া যাবে না। আমার শিক্ষা, বিবেক, বিবেচনা, ব্যক্তিত্ব, অভিজ্ঞতা (কর্টেক্সে থাকে) আমার নিম্নকেন্দ্রগুলোকে কন্ট্রোল করে।

প্রাণীকুল ও অধিকাংশ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত আচরণ বা লিম্বিক সিস্টেম দ্বারা চালিত (সেমিঅটোমেটিক)। তাড়নার বিরুদ্ধে গিয়ে সংযম— এটা উচ্চকেন্দ্রের কাজ, যা সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না (আবেগে কাজ করে, বিবেকে করে না)। সবার শিক্ষাদীক্ষা, পরিবার, বিবেচনাবোধ, অভিজ্ঞতা, জ্ঞানগত পর্যায় এক না। কিন্তু সবার লিম্বিক জোন একইভাবে ক্রিয়া করে। চাইলে আপনি সংযমকে লিম্বিকের অংশও বানিয়ে দিতে পারেন কন্ডিশনিং-এর মাধ্যমে। এবং আচরণ নিয়ন্ত্রণে সেটার কার্যকারিতা অনেক বেশি ও ব্যাপক হবে। বিজ্ঞানী পাভলভ করে দেখিয়েছেন, কীভাবে কন্ডিশনিং-এর দ্বারা নতুন কিছুকে স্বতঃস্ফূর্ত আচরণের অংশ বানানো যায়, সেটা রিভার্সও করা যায়।

প্রাণিকুলে এই সেমি-অটোমেটিক কেন্দ্রটা কাজ করে পুরস্কার-শাস্তির বাইনারিতে । ফলে ঐ স্মৃতিটাই সংরক্ষণ হয় যা হয় পুরস্কার নয়তো শাস্তির অনুভব দেয়। যে তথ্যটা নিউট্রাল, সেটা বার বার দিলে নিঃসাড় হয় ব্রেইন (Habituation)। আর পুরস্কার/শাস্তি সংক্রান্ত তথ্য বার বার দিলে তা রিইনফোর্সমেন্ট হয় ও স্মৃতিতে পরিণত হয় বর্ডার জোনে, যা ব্যক্তির আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। (Guyton, 2021)

ধর্ম তার শিক্ষা দিয়ে ঠিক এই কাজটাই করে। বার বার নানাভাবে ইনপুট দিয়ে জান্নাত-জাহান্নামের ধারণাকে তার সেমি-অটোমেটিক অংশে দিয়ে দেয় (working memory at Hippocampus and Amygdala)। যা তার আচরণকে সেমিঅটোমেটিক-ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, এমন সময়েও নিয়ন্ত্রণ করে যখন তার অপরাধ করার, দুর্নীতি করার সব ধরণের সুযোগ রয়েছে। ধর্ম ব্যক্তিকে সর্বদা সিসিটিভির আওতায় থাকার ফিলিংস দেয়। যেখানে রাষ্ট্রের মনিটর করার সুযোগ নেই, এমন ক্ষেত্রেও ধর্ম অবচেতনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে। (তুলনীয়: রমজানে রোজা, বাথরুমেও পানি না খাওয়া, ফরজ গোসলের সময় আন্তরিকতা ইত্যাদি)

আবার পুরস্কারের ধারণাটা এমন কাজ করিয়ে নেয়, যা করাতে হলে রাষ্ট্রের পক্ষে কোটি টাকা খর্চা করেও ইফেক্টিভলি করানো দুষ্কর। যেমন ব্রিটেনে-আমেরিকায় মুসলিমরা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের চেয়ে বেশি চ্যারিটি করে, ভোগ কম করে। শাইখ আহমাদুল্লাহ সদ্যগত বন্যায় যে হিসেব দেখিয়েছেন, ম্যানেজমেন্ট বাবদ খর্চা ৩%-ও না, যেখানে অন্যান্য দাতব্য সংস্থার এই খরচ ২৫-৫০% হয়, সব আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ভলান্টিয়াররা করেছে।

সুতরাং ধর্ম-রাষ্ট্র পৃথকীকরণ প্রজেক্ট আমাদের কল্পিত গণশরীরের ব্রেইন সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ব্রেইনের স্বয়ংক্রিয় সহজাত অংশ (লিম্বিক সিস্টেম) যেখানে পুরস্কার-শাস্তির বাইনারিতে অবজেক্টিভলি কাজ করে, সেখানে আমরা সততা আশা করি ঐচ্ছিক অংশের কাছে (কর্টেক্স), বিবেকের কাছে (প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স), ব্যক্তিগত নৈতিকতার কাছে, দেশপ্রেমের মতো ঠুনকো আবেগের কাছে। যা সাবজেক্টিভ, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাভিত্তিক, ঐচ্ছিক (নট অটোমেটিক)।

আমার পয়েন্ট হল, পুরস্কার-শাস্তির ব্যাপারটা স্রেফ সচেতন নৈতিকতার পর্যায়ে না রেখে শিক্ষণ-প্রশিক্ষণের দ্বারা গণশরীরের ঐচ্ছিক (Cortex, episodic memory) থেকে অনৈচ্ছিক অংশে (Limbic system, working memory) অবচেতনে আনতে হবে। এজন্য ধর্ম, ধর্মীয় পরিভাষা, ধর্ম-রাষ্ট্র সংযোগ প্রয়োজন। ফলে ব্যক্তির আচরণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে, অবচেতনে নিয়ন্ত্রিত হবে। সেক্যুলারিজম জবাবদিহিতার তৈরির ক্ষেত্রে দেহ-মনের যে পদ্ধতি, তার বিরুদ্ধে কাজ করে।

এই সেক্যুলার পৃথকীকরণের ফলে যেটা হয়েছে, তা হল জায়নামাজের পাটিকে ধর্ম মনে করা হয়েছে, কিন্তু অফিসের টেবিলকে ধর্ম ভাবা সম্ভব হয়নি। জামাতের সময়কে ধর্ম-পবিত্র ভাবা যতটা সহজ, অফিসের ইন-আউট টাইমকে পবিত্র দায়িত্ব ভাবা সম্ভব হয়নি। একটা ওয়াজের কেতাবকে যতটা সম্মান করা হয়েছে, পড়ে গেলে চুমো দিয়ে বুকে জড়িয়ে নেয়া হয়েছে; অফিসের ফাইলকে অতটা পবিত্র ভাবা হয়ে ওঠেনি। একই কন্ট্রাক্ট্রর মসজিদ নির্মাণের কাজ যতটা ভক্তিভরে করেছে, রাস্তা নির্মাণের কাজ করেছে চুরিচামারি করে।

মূল সমস্যাটা হয়ে গেছে, খৃষ্টবাদকে দিয়ে ধর্মকে চেনার ফলে। খৃষ্টবাদে যিশুকে ত্রাতা হিসেবে বিশ্বাস করাটাই নাজাতের জন্য যথেষ্ট, কর্ম যা-ই হোক। অথচ মানবমস্তিষ্ক পুরস্কারের চেয়ে শাস্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় বেশি। এভাবে শাস্তি উঠিয়ে দিলে সমাধান হল না। ফলে মধ্যযুগে খৃষ্টান পাদ্রীদের দ্বারা বিপুল দুর্নীতি-ভোগবিলাসিতা দেখা যায়। যার প্রেক্ষিতেই ধর্ম-রাষ্ট্র পৃথকীকরণের আলাপ। ইসলামের থিওলজি এটা নয়, ইসলামে আক্ষরিক অর্থেই পাপ থেকে ফিরতে হবে। খাঁটি তাওবা (ইউ-টার্ন) করতে হবে যে, আমি আর এটা করব না, ক্ষতিপূরণ করতে হবে। আবার, তাওবা কবুল হলেও নিয়মতান্ত্রিক পার্থিব ক্ষতি যেটা হবার সেটা সিস্টেমে পড়ে হবে, এবং সেটার দ্বারাই গুনাহ মাফ হবে। সুতরাং ইসলামে শাস্তির ধারণা খুবই শক্ত। ইসলামকে অন্যান্য ধর্মের সাথে এক লটে বাতিল করাটা অযৌক্তিক এবং অসততা।

[চলবে ২য় পর্ব]