কুরআন পাড়ানো, আল্লাহ-রাসুলকে 'চ' 'দ' দিয়ে গালিগালাজ এগুলোর কোন বিচার সেক্যুলার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র করে না। বাইডিফল্ট করবে না। কেন?
ইসলামের মূল খুঁটি যেমন তাওহীদ। তাওহীদ ছাড়া নামাজ-হজ কিছুই গ্রহণযোগ্য না। তেমনি গণতন্ত্রের পুরো কাঠামোটার খুঁটি হল: ব্যক্তিস্বাধীনতা। এটা ছাড়া ভোট, নির্বাচনে জেতা কিছুই গ্রহণযোগ্য না। যার অন্যতম প্রকাশ হল: বাকস্বাধীনতা। এজন্য দেখবেন গণতান্ত্রিক কল্যাণরাষ্ট্র (সুইডেন, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক)গুলোতে দেদারসে কুরআন-পোড়ানো ও নবিজিকে গালিগালাজ-কার্টুন আঁকানো খুব কমন ঘটনা। যেসব ইসলামী রাজনৈতিক দল নতুন নতুন 'কল্যাণরাষ্ট্র' শব্দটা শিখেছে, তারা কল্যাণরাষ্ট্র কী, জানে? সবার নাগরিক অধিকার রক্ষা (সমচমী, ট্রানগন্ডার, কুরআন-দাহক, রসূলকে গালিদানকারী) করতে বাধ্য থাকবে তারা পশ্চিমের এসব শব্দ গ্রহণ করলে।
সুতরাং এই রাষ্ট্র সর্বোচ্চ অপূর্ব পালদের পুলিশ হেফাজতে নেবে তৌহিদি জনতার হাত থেকে বাঁচাতে। আর আইওয়াশ হিসেবে ২ বছরের একটা শাস্তি রাখবে, যা আবার অন্যান্য ধারা দিয়ে বাতিলের সুযোগ থাকবে। আর সেক্যুলার বিচারিক ব্যবস্থায় মানসিক অসুস্থতার সনদ একটা দেখাতে পারলে তো হেভি মজা। লক্ষ লক্ষ লোক তাকে কুরআন পাড়াতে দেখলেও আদালতে সেটা 'প্রমাণ' ও 'অপ্রমাণের' খেলায় ঐ নামমাত্র ২ বছরও সাজা হবে না।
বাকস্বাধীনতা, তাও আবার মাইনরিটির বাকস্বাধীনতা। ওরে বাবা। এটা তো কয়েকশো কুরআনের চেয়ে বেশি পবিত্র এই সেক্যুলার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে। এখানে মুসলমানের ঈমান-আবেগ-কষ্টের কোনো জায়গা নেই। আপনি অপমানে-লজ্জায়-যন্ত্রণায় শেষ হয়ে যান। কারও কিচ্ছু যায় আসে না।
ইসলামের ব্যানার নিয়ে ভোট বাগানো দলগুলোরও যায় আসেনা। জনপূজার রাজনীতিতে জনপূজার বেদীতে বলি হয়ে যায় মুসলমানের অন্তরের ব্যথা।